শখের বসে অথবা বানিজ্যিক ভাবে অনেকেই কবুতর পালন করার উদ্যোগ নেন, কিন্তু দক্ষতা এবং কবুতর পালনের অন্যান্য পারিপার্শ্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ভালো করে না জানার ফলে সখের কবুতর পালন অনেক সময় শুরুতেই ভেস্তে যায়।
![]() |
কবুতর |
আসুন জেনে নেয়া যাক, কবুতর পালনে করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয় সমূহ-
১) যতটুকু সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করাঃ বন্ধু কিংবা কোনো আত্মীয় অথবা কোনো পরিচিত জন যদি আগে থেকেই কবুতর পালন করে থাকে তাহলে তাদের থেকে যথাসম্ভব কবুতর পালন সম্পর্কে খুটিনাটি বিষয় সমূহ জেনে নিতে হবে, কবুতর বাড়িতে আনার পূর্বে এবং পরে।
2) কমদামী কবুতর নিয়ে শুরু করাঃ নতুনদের জন্য কমদামী কবুতর নিয়ে শুরু করাটাই উত্তম, এতে করে কবুতর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে দেশী কবুতর নিয়ে শুরু করা যেতে পারে, তবে দেশী কবুতরও ভালোভাবেই ডিম দেয় এবং বাচ্চাকে ভালোভাবে বাচ্চা লালন পালন করে থাকে অনেক দামী কবুতরের চেয়ে।
কমদামী কবুতর নিয়ে শুরু করলে ঝুঁকি কম থাকে।
৩) সুস্থ কবুতর নিয়ে শুরু করাঃ অনেকে কবুতর সম্পর্কে ভালোভাবে না জানার ফলে বাজার থেকে অসুস্থ কবুতর নিয়ে আসে এবং কয়েক দিন পর মারা গেলে কবুতর পালনে আগ্রহ হারিয়ে পেলে।
যা করতে হবে- বাজারে যাওয়ার সময় কবুতর পালন করে এরকম কাউকে সাথে নিয়ে যেতে হবে কারন বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীর অভাব নেই। অথবা কোনো বিশ্বস্ত লোক যদি কবুতর পালন করে, তাহলে তার থেকে কবুতর সংগ্রহ করাটা সবচেয়ে ভালো হবে।
৪) কবুতরের বাসস্থানঃ কবুতরের বাসস্থান যথাসম্ভব শুকনো রাখতে হবে, এবং হিংস্র প্রাণী হতে নিরাপদ রাখতে হবে কারন কবুতর ভয় পেলে বাসা ছেড়ে চলে যেতে পারে।
৫) নর বা মাদী না চেনাঃ নতুরা অনেকেই না চেনার ফলে অনেক সময় দুইটাই নর বা দুইটার মাদী কবুতর নিয়ে আসেন। অথবা সবল কবুতরের সাথে দুর্বল কবুতরের জোড়া মিলান যা ঠিক নয়। এজন্য দেখে বুঝে জোড়া মিলাতে হবে।
৬) বাচ্চা কবুতর নিয়ে শুরু না করাঃ নতুনদের জন্য বাচ্চা কবুতর নিয়ে শুরু করাটা টিক হবেনা।
৭) সঠিক ঔষধ প্রয়োগ করাঃ নতুনরা অনেকেই কবুতরের অসুখ সম্পর্কে সঠিক ভাবে না জেনেই ঔষধ প্রয়োগ করে থাকেন যা মোটেও উচিৎ নয়। তাই কবুতরের অসুস্থতা বুঝা গেলে অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিয়ে ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। এবং অসুস্থ কবুতরকে আলাদা করে রাখতে হবে।
৮) কবুতর আনার পর আমরা ৩-৫ পর্যন্ত দুই পাখা বেঁধে রাখি যা ঠিক নয় কারন দুই পাখা বেঁধে রাখলে কবুতর সামান্য করে হলেও সমান ভাবে উড়তে পারে এজন্য যে কোনো এক পাখনা ভালোভাবে বাঁধতে হবে এবং অন্য পাখনা ছাড়া রাখতে হবে।
৯) বিরক্ত না করাঃ আমরা অনেকে নতুন কবুতর আনার পর খাঁচায় কবুতরকে খুব বেশি বিরক্ত করে থাকি যা মোটেও উচিৎ নয়।
১০) সময় মত খাবার দেয়াঃ কবুতরকে সময়মত খাবার এবং পানি সরবরাহ করতে হবে। এবং প্রতিদিন একই খাবার না দিয়ে নিয়ম করে বিভিন্ন ধরনের খাবার দিতে হবে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার এবং পোকামুক্ত খাবার নির্বাচন করতে হবে।
0 Comments