কাঁঠাল চাষ । ।চারা রোপন হতে ফল সংগ্রহ


কাঁঠালআমদের জাতীয় ফল বানিজ্যিক ভাবে আমদের দেশে এই ফল চাষ না হলেও সুমিষ্ট এই কাঁঠাল দেশের সর্বত্রই কম বেশী হয়ে থাকে তবে উঁচু জমি কাঁঠাল গাছের জন্য অনুকূল সাধারনত, গাছ লাগানোর পর পাঁচ থেকে সাত বছরে কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল ধরে তবে জায়গা ভেদে তার তারতম্য হয় সাধারনত কাঁঠালের বীজ থেকেই কাঁঠাল গাছের বংশবৃদ্ধি হয় তবে আধুনিক কৃষিতে খুব দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য কলমের মাধ্যমেও কাঁঠালের বংশবৃদ্ধি করা হয়। গাছে ধরা ফলের মধ্যে কাঁঠাল‘ই সবছেয়ে বড় ফল। কাঁটাযুক্ত এই ফল ওজনে প্রায় তিন কেজি থেকে চল্লিশ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে  এবং লম্বায় প্রায় বিশ থেকে নব্বই সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে গ্রাম প্রধান এই দেশে গৃহস্থের উঠান, ঘরের পাশ বা ছোট বাগানে এই গাছ বেশী দেখা যায়

কাঁঠাল

কাঁঠাল গাছের চারা রোপনঃ

আমদের দেশের আদ্র আবহাওয়া কাঁঠাল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। সাধারনত পানি জমে না এমন উচুঁ জমিতে কাঁঠালের বাগান করতে হবে। ভালোমানের পাকা কাঁঠাল থেকে সুস্থ বীজ সংগ্রহ করে ২ থেকে ৩ দিন ছায়ায় শুকিয়ে বীজতলায় বীজ বপন করতে হবে। এতে করে ২০ থেকে ২৫ দিনে চারা গজোবে।

জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি থেকে শ্রাবন মাসের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে দশ মিটার দূরত্বে মাদা করে চারা রোপন করতে হবে। প্রতি মাদায় ৩৫ কেজি শুকনো গোবর, টিএসপি ২১০ গ্রাম এবং এমওপি সার ২১০ গ্রাম করে দিতে হবে।

নতুন লাগানো চারা যাতে করে হেলে না পড়ে সেজন্য শক্ত লাঠি গেড়ে তার সাথে বেঁধে দিতে হবে।

পানি সেচ, আগাছা পরিষ্কার ও সার প্রয়োগ- 

শুষ্ক মৌসুমে গাছের গোড়ায় পরিমান মত পানি সেচ দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন বর্ষা মৌসুমে গাছের গোড়ায় পানি না জমে, প্রয়োজনে বাগানের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
গাছের গোড়ায় আগাছা জন্মালে তা নিড়ানি দেয়ে পরিষ্কার করে পেলতে হবে।
গাছে কাঠাল আসার দেড়-দুই মাস পূর্ব হতে পানি সেচ দিতে হবে। 
গাছপ্রতি ৩৫-৪০ কেজি পরিমাণ গোবর, ৩৫০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া, ৭৫ গ্রাম ফসফরাস, ৭৫ গ্রাম পটাস, এবং ১৫ গ্রাম সালফার বর্ষার পূর্বে প্রয়োগ করতে হবে।
এবং বর্ষার পরেও একই পরিমান সার গাছপ্রতি প্রয়োগ করতে হবে।

রোগ ও ব্যবস্থাপনা

কাঁঠাল পচা রোগঃ এ রোগের আক্রমনে কাঁচা ফলের গায়ে বাদামি রঙ্গের দাগ দেখা দেয় এবং ্আক্রান্ত ফল গাছ থেকে ঝরে পড়ে। করণীয় ঃ গাছের নিচে ঝরে পড়া ফল পুড়িয়ে পেলতে হবে এবং ছত্রাকনাশক ০.০৫ ভাগ হরে পানির সাথে মিশিয়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করলে স্প্রে করতে হবে (১৫ দিন পরপর, মোট তিন বার)।

ছোট অবস্থাতেই কাঁঠাল কালো হয়ে ঝরে পড়লে করণীয় ঃ

চত্রাকের আক্রমন হলে কাঁঠাল ছোট অবস্থাতেই কালো হয়ে ঝরে পড়ে, এক্ষেত্রে ‘রিডোমিল এম জেড ৭৫’ প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

Post a Comment

0 Comments